শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১, ২৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:২০, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নাজিয়া ও নাফি বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় থাকত। নাজিয়া তৃতীয় শ্রেণীতে আর নাফি প্রথম শ্রেণীতে পড়ত।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ নাফি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ ফ্লেইম বার্ন হয়েছিল। এর আগে সোমবার রাত তিনটার দিকে তার বোন নাজিয়া মারা যায়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন হয়েছিল। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে ১১ জন শিক্ষার্থী-শিক্ষক মারা গেল। এছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্নে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
এদিকে আইএসপিআর মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তালিকায় ২৭ জন নিহতের কথা বলা হয়, যাদের মধ্যে ২৩ জন শিশু। রাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২-এ পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, ছয়টি রাখা হয়েছে সিএমএইচের মর্গে। নিহত বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে।
আইএসপিআরের তালিকা অনুযায়ী এ ঘটনায় মোট আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ