শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২৪, ২৩ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বুধবার বিকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে আসা এক বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্টের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা দগ্ধ শিশুদের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি—ক্রিটিক্যাল, সিভিয়ার ও ইন্টারমিডিয়েট। ভর্তিদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল বা আশঙ্কাজনক, ১৩ জনের অবস্থা সিভিয়ার বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৩ জনের অবস্থা ইন্টারমিডিয়েট।’
ডা. নাসির আরো বলেন, ‘এ ধরনের দগ্ধ রোগীদের শারীরিক অবস্থা ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হয়। তাই এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’ তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেই এবং আপাতত রক্তেরও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের একটি সূত্রে জানা যায়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতি ঘণ্টায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। তবে অধিকাংশের অবস্থাই এখনো আশঙ্কাজনক বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ১১ শিশু মৃত্যুবরণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মোট ৪৪ জন, যাদের মধ্যে ৩৭ জনই শিশু।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে