শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (২৪এপ্রিল) পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্ত ঘেঁষা একটি জমির কাছে ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য পূর্ণম টহল দিচ্ছিলেন। ওই সময় তিনি কৃষকদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। অতিরিক্ত গরমে কিছুক্ষণ বিশ্রামের জন্য একটি গাছের ছায়ায় দাঁড়ান তিনি। এসময় খেয়াল না করেই সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে ফেলেন। সেই সুযোগেই পাকিস্তানের রেঞ্জাররা এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় হুগলির রিষড়ায় সাহু পরিবারের মধ্যে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দিন কাটছে উৎকণ্ঠায়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পূর্ণমের অবস্থার বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।
পূর্ণমের বড় ভাই রাজেশ্বর সাহু জানান, ‘আমরা শুনেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। বিএসএফও চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁকে ফিরিয়ে আনার।’
স্ত্রী রজনী সাহু বলেন, ‘এর আগে কুম্ভমেলায় ডিউটিতে ছিলেন। ছুটি কাটিয়ে পাঠানকোট ফিরেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর আমাদের শেষবার কথা হয়। এরপর এক বন্ধুর কাছ থেকে ওর আটকের খবর পাই।’
পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাহু বলেন, ‘আমার ছেলের বন্ধু ফোন করে জানায়, শরীর খারাপ লাগায় সে গাছের নিচে বসেছিল। তখনই পাকিস্তানি বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়। এখন সে কোথায়, কিছু জানি না। সরকারের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমাদের জানান।’
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যেসব সীমান্তে কাঁটাতার বা বাধা নেই, সেসব জায়গায় ভুলবশত সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনা ঘটে। যদিও এই পরিস্থিতিতে খুব সতর্ক থাকা দরকার। দেশের সেনা ও আধাসেনা বাহিনী সজাগ রয়েছে, এবং পূর্ণম কুমার সাহুকে ফিরিয়ে আনতে তারা সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণম কুমার সাহুর মুক্তির জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসেছে ভারতীয় সেনা। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং তাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরানোর জন্য ভারতীয় পক্ষ সক্রিয় রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি