ঢাকা, রোববার, ০৪ মে ২০২৫

২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
‘মানবিক করিডর’ বিষয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
Scroll
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় বেসরকারি ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইউজিসি
Scroll
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার
Scroll
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ জন হজযাত্রী, আরো একজনের মৃত্যু
Scroll
কক্সবাজারে আরো পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা, নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার
Scroll
নির্বাচন কবে— বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে রাশিয়া: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
Scroll
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Scroll
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক, সতর্ক থাকার আহ্বান
Scroll
পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে ভারত, এলওসি বরাবর ভয়াবহ সংঘর্ষ
Scroll
গাজায় অপুষ্টির শিকার হয়ে ৫১ শিশুর মৃত্যু
Scroll
সিঙ্গাপুরের নির্বাচনে পিএপি’র টানা জয়, ছয় দশকের শাসনের ধারা অব্যাহত
Scroll
মেসি-সুয়ারেজের নৈপুণ্যে রেড বুলসের বিপক্ষে জিতল ইন্টার মায়ামি
Scroll
‘তান্ডব’ সিনেমার শুটিং সেটে স্টান্টম্যান মনিরের মৃত্যু

তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৩৩, ৪ মে ২০২৫

তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া

ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া, তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেননি। এমনটিই লিখিতভাবে নিশ্চিত করেছে সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। রবিবার (৪ মে) আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় এ তথ্য দাখিল করা হয়েছে। আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এই তথ্য সংবলিত চিঠি রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তুরিন আফরোজের নামে পিএইচডি ডিগ্রির কোনো রেকর্ড নেই তাদের কাছে। এমনকি এই নামে কেউ কখনো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও কোনো তথ্য নেই।

গত ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেছেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর থাকা অবস্থায় ক্ষমতার সব রকম অপব্যবহার করেছেন। মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। উত্তরার বাড়িতে সেই মায়ের থাকার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম এবং তুরিন আফরোজের ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ আহমেদের বসবাস করা নিয়ে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী, ব্যারিস্টার আতিকুল হক। তুরিন আফরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

সেদিন ব্যারিস্টার আতিকুল হক বলেন, রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে বসবাসকে কেন্দ্র করে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরার রেসিডেনন্সিয়াল মডেল টাউনের ১১ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িতে ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন শামসুন্নাহার বেগম এবং তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ। তবে নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজকে ওই বাড়ি থেকে ২০১৭ সালে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। পরে ওই বাড়ির ভোগ দখল ও মালিকানা দাবি করে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর দু’পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা জারি করে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। এরপর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আবেদন করে শাহনেওয়াজ। পরে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন জেলা জজ আদালত। এরপর ২০২৩ সালের মার্চে জেলা জেজ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করে শাহনেওয়াজ।

২০২৩ সালের ২ এপ্রিল বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্তরায় ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত পরিবর্তিত হয়ে মামলাটি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথ (অ্যাবসুলেট) ঘোষণা করে স্থিতাবস্থা বাতিল করে রায় দেন। 

এখন বাড়ির ভোগ দখল ও মালিকানা দাবি করে দায়ের করা দুটি মামলায় বিচারিক আদালতে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে বলে জানান আইনজীবী আতিকুল হক।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন