শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৪৫, ৪ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
রবিবার (৪ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গাগুলোতে আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু এই টেবিলে বসে, এখানে আলোচনা করে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছাতে পারব— এটি আমরা মনে করি না।’
জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়ে কমিশন অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আপনাদের ওপর আমাদের এই আশা, বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, আপনারা অন্যদের সঙ্গে কথা বলবেন, ভিন্নমতের জায়গাগুলোকে সংকুচিত করে এক জায়গায় আসার জন্য আপনারা আপনাদের সহযোগী রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে অনুপ্রাণিত করবেন এবং তার মধ্য দিয়ে আমরা এক জায়গায় উপনীত হতে পারব।’
চলতি মে’র মাঝামাঝি সময় থেকে ঐকমত্যের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি হবে।’ রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য সুস্পষ্ট জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চাই, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে; যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গভীর অন্ধকারে পতিত হয়েছিল। একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের পদতলে পিষ্ট হয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন আশাহত, সেই সময় তরুণদের অভ্যুত্থানের ডাকে লাখ লাখ মানুষ সাড়া দিয়েছেন। তারই ফলে আমরা এখানে সমবেত হয়ে (সংলাপ) বাংলাদেশের রাষ্ট্র বিনির্মাণের, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করতে পারছি।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক উপস্থিত আছেন— কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ