শিরোনাম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০১, ৪ মে ২০২৫
হাসপাতালে মায়ের সঙ্গে আসাদুল। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে তার হাতের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্ত করে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে অজ্ঞাত কিশোরের পরিবার হাসপাতালে এসে সন্তানকে ফিরে পান। তার উন্নত চিকিৎসার দাবি পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে পটূয়াখালীর কলাপড়া থেকে ছুটে আসেন তার মা। গতকাল ছেলেটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা।
ওই কিশোরের নাম মো. আসাদুল জামান। বয়স ১৮ বছর। আসাদুল পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও মোসা. রাশিদা বেগমের সন্তান। তারা রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর শাফিয়া শরীফে গত ২৬ এপ্রিল ওরশ মাহফিলে আসেন। সেখান থেকে আসাদুল হারিয়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের আঁড়িয়াল খাঁ ব্রীজের নিচ থেকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
উদ্ধারকারী ও পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আড়িয়াল খাঁ ব্রিজের নিচে এক কিশোরকে মুর্মুর্ষ অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহবায়ক নেয়ামত উল্লাহ ও কর্মী আসাদুজ্জামান সাইফ দ্রুতই পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ওই কিশোরকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ওর কোনো পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার হাতের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সনাক্ত করে তার ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়। ঠিকানা মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তার পরিবারকে আসতে বলা হয়। তারা শুক্রবার রাতে মাদারীপুরে আসেন।
কিশোর আসাদুল ছোটবেলা থেকেই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মাঝে মাঝে হারিয়ে যায়। পরিবারটি তার সু-চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
কিশোরের মা রাশিদা বেগম বলেন, “আমি ও আমার স্বামী কলাপাড়া পৌরসভায় ঝাড়ুদারের কাজ করি। ছয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে আসাদুল সবার ছোট। তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অসুস্থ্য, মেঝ ছেলে পড়ালেখা করে। আর ছোট ছেলে ছোট থেকেই মৃগী রোগে আক্রান্ত। ভালো চিকিৎসা দিতে পারিনি। আমাদের খেয়ে পড়ে বাঁচাই দায়, সেখানে কিভাবে চিকিৎসা করাবো। এখন যদি কেউ আমার ছোট ছেলেটাকে চিকিৎসা করায়, তাহলে আমরা বাঁচতে পারবো।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ