ঢাকা, রোববার, ০৪ মে ২০২৫

২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
গাজীপুরে রক্তাক্ত হাসনাত, সন্ত্রাসীদের হামলা
Scroll
জামায়াতের সাবেক নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন
Scroll
‘মানবিক করিডর’ বিষয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
Scroll
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় বেসরকারি ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইউজিসি
Scroll
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ জন হজযাত্রী, আরো একজনের মৃত্যু
Scroll
নির্বাচন কবে— বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে রাশিয়া: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
Scroll
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Scroll
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক, সতর্ক থাকার আহ্বান
Scroll
পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে ভারত, এলওসি বরাবর ভয়াবহ সংঘর্ষ

নেত্রকোণায় ক্ষতি কমাতে কাঁচা ধান কাটছেন কৃষকরা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৮:৩৪, ৪ মে ২০২৫

নেত্রকোণায় ক্ষতি কমাতে কাঁচা ধান কাটছেন কৃষকরা

পোকার ভয়ে কাঁচা ধানে কেটে ফেলছেন কৃষক। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস 

শেষ পর্যায়ে এসে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শত শত কৃষক পরিবার। নেত্রকোণার ভারতীয় সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা মোকাবেলায় কাঁচা ধান কেটে ফেলছেন অনেক কৃষক। 

জানা গেছে, উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা রংছাতি, লেংগুরা, নাজিরপুর প্রভৃতি পাহাড়ি এলাকায় পোকার আক্রমণ হয়েছে বেশি। বিভিন্ন ক্ষেতের সবুজ ধানের গাছ ছেয়ে আছে এক ধরনের পোকা। হয়তোবা এসব পোকা এই ধান গাছ ও গজানো শীষ থেকে নিজেদের খাদ্য সংগ্রহ করছে। ফলে অনেক অনেক ধান গাছ মরে বিবর্ণ রূপ নিয়েছে। এভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। 

রংছাতি এলাকার কৃষক শান্ত বলেন, “কিছুদিন আগের শিলা বৃষ্টি-ঝরে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার পোকার আক্রমণে ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। অনেকে তাদের ক্ষেতে বিষ ছিটাচ্ছেন, আবার অনেকেই কাঁচা ধান কেটে ফেলছেন। আমার ২০কাটা (দুই একর) জমিতে পোকার আক্রমণ হয়েছে। উপায় না দেখে অনেকের মতো আমিও কাঁচা ধান কাটতে শুরু করেছি। আর এক সপ্তাহ সময় পেলেই সব ধান পেঁকে যেতো।”  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ৭ ইউনিয়নে চলতি বছর ২১ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাওরে রয়েছে ৪ হাজার ৬৩০ ও অন্যত্র ১৬ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমি সরকারের সহযোগিতা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকরা কাজ করেছেন। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তবে শিলা-ঝড় ও পোকার আক্রমণের কারণে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। তবে, বেসরকারি হিসাব মতে শিলা ঝড় ও পোকার আক্রমণে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “কিছু এলাকার জমিতে বাদামি ঘাস ফড়িংয়ের আক্রমণ হয়েছে। প্রতি বছরই এরকমটা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় কীটনাশক ছিটিয়ে দমন করা যায়। আমরা পাঁকা ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।” 

অন্যদিকে, ঘাস ফড়িংসহ প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতাদানের জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষিকর্মকর্তাদের সমম্বয়ে ৪টি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা মাঠে কাজ করছেন।” 


ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ 

আরও পড়ুন