শিরোনাম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৫৫, ৪ মে ২০২৫
নিহত কলি আক্তার (২৩)। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এ ঘটনায় রোববার (৪ মে) বিকেলে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন। ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন সাবেক স্বামী আসলাম মাতুব্বরের (৩১) পরিবারের লোকজন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের টুবিয়ার মৃত রকমান মাতুব্বরর ছেলে কাতার প্রবাসী আসলাম মাতুব্বরের সঙ্গে একই এলাকার সালাম খার মেয়ে কলির প্রথম বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে দেড় মাস আগে আসলামের সঙ্গে কলির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর এক বছর বয়সী ছেলে আইয়েনকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন কলি।
পরবর্তীতে শুক্রবার (২ মে) দুপুরে আবার প্রতিবেশী মান্নান খার ছেলে আলী খার (৩০) সঙ্গে কলির পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাবেক স্বামী আসলামের পরিবারের লোকজন শনিবার (৩ মে) সকালে কলির কাছ থেকে তার আড়াই বছরের ছেলেকে জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সন্ধ্যায় ঘরের ভেতর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন কলি। এ সময় ঘরের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান অভিযুক্ত আসলামের পরিবারের লোকজন।
নিহত কলির বাবা সালাম খা বলেন, “মেয়ের অশান্তির কারণে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। পরে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। এ খবর শুনে পরিকল্পিতভাবে আমার নাতিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় আসলামের লোকজন। এ ঘটনা আমার মেয়ে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। আমরা সবাই এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চাই।”
মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এখনো অভিযুক্তদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ