শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০০:৪২, ৫ মে ২০২৫
দণ্ডপ্রাপ্ত সারজন আলী মন্ডল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আছালত মণ্ডলের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৫ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ইসাহাক আলী মন্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ৭ এপ্রিল নিহত ইসাহাকের বাবা আনজের মন্ডল বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে ও এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন ইসাহাক আলী মন্ডল (৪০) বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।
পরে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর ফেলে চরমপন্থী নেতা হানিফের নেতৃত্বে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় আশেপাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে রাস্তায় ইসাহাক আলী মন্ডলের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন ইসাহাকের বাবা আনজের মন্ডল। ওই মামলায় তদন্ত শেষে ইসাহাকের চাচা শ্বশুর মোকসেদ আলীর ছেলে সারজন আলী মন্ডলকে আসামি করে পুলিশ। এজাহারে দাবি করা হয়, চরমপন্থী নেতা হানিফ ও তার লোকজনকে দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় ইসাহাকের চাচাত শ্যালক সারজন আলী। ইসাহাক আলীর সঙ্গে তার শ্যালক সারজনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল।
মামলা দায়েরের পরে সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে দীর্ঘ দুই যুগ পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা চরমপন্থী নেতা হানিফ গত ২১ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠে সংঘটিত ট্রিপল মাডারে নিহত হন।