শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৪৫, ৪ মে ২০২৫
গত শুক্রবার মাইক্রোবাসে করে অস্ত্রের চালান নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী আসার চেষ্টা করে মনির ও তার সহযোগিরা। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে বাশবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশির সময় অস্ত্রসহ আটক হয় মনির। পুলিশ বরিশালের বন্দর থানার ইছামতি ইউনিয়নের কাঞ্চন ঢালির ছেলে মো. মানির (৪৫) কেও আটক করে।
গতকাল শনিবার বিকেলে নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাসেল সংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অস্ত্র ও গুলি মহেশখালীতে তৈরি করা হয়। এগুলো বিক্রি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য অস্ত্র আমদানি হচ্ছিল।
মনির হোসেন লক্ষীপুরের বশিকপুরের শীর্ঘ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রুপ এবং রামনারায়নপুরের সন্ত্রাসীগ্রুপের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্র চালান আটক ও মনির আটকের সংবাদে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মনিরের বাড়ী চাটখিলের দক্ষিণ সীমান্তবার্তী এলাকা। এলাকার রামনারায়নপুর ও খিলপাড়া ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহে সন্ত্রাসীদের আকড়ায় পরিনত হয়েছে। এলাকার ৮/১০ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। এ সব সন্ত্রাসীর ১৫/২০ জনের গ্রুপ রয়েছে। রয়েছে ১৫/১৬টি কিশোর গ্যাং। এদের নিকট রয়েছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার ও দেশী অস্ত্র সশ্র। এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ সব অস্ত্র মজুদ করে রেখেছে। এদের একজন অভিভাবক রয়েছে এ এলাকায়। তিনি লক্ষীপুর এবং চাটখিলের সন্ত্রাসীদের সমন্বয় করে গাইড লাইন দিয়ে থাকেন। এলাকায় প্রতিনিয়ত হামলা, ভাংচুর, অপহরণ ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে।
নাহারখিল গ্রামের যুবদলের নেতা জাবের হোসেনের সংবাদ এখনো পাওয়া যায়নি। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এ বিষয় কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নাহারখিল গ্রামের রুপালী ব্রিক ফিল্ড দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারার অভিযোগ রয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন জানান, এলাকায় সস্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।