শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৩, ৪ মে ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৮, ৪ মে ২০২৫
মাহফুজ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবকিছু লিখতে পারে। সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে। সংবাদমাধ্যম যত বেশি প্রশ্ন করবে, রাষ্ট্রে যাঁরা দায়িত্বশীল আছেন, তাঁরা আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করতে বাধ্য হবেন। সুতরাং সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন করতেই হবে, প্রশ্ন তুলতেই হবে।
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ : রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে ইউনেসকো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুইডেন দূতাবাস।
বিজ্ঞাপনের হার পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিজ্ঞাপনের হার পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ডিএফপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে যাদের প্রচারসংখ্যা দুই হাজারও না, কিন্তু এক লাখ, দুই লাখ দেখিয়ে রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করেছে, তাদের তথ্য উন্মোচন করা হবে।
রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয় উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা ১০টা ভালো আইন করে দিলাম, কিন্তু রাজনৈতিক সরকার যদি এই আইনটাকে কন্টিনিউ না করে, ওই কমিটমেন্ট যদি জনগণের প্রতি তাদের না থাকে, তাহলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব না।’
সাংবাদিক সুরক্ষা আইন তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে ‘‘ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়া’’ যে নীতির কথা বলা হয়েছে, তা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনের কিছু কিছু ধারা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বসা দরকার, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পাঠানো প্রয়োজন, কোনো লুপ হোল আছে কি না জানার জন্য। এটুকুর জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। এরপর আমরা এটি কেবিনেটে তুলব। আইন আকারে যেন আসে, চেষ্টা করব।’
সম্প্রচার নীতিমালা শিগগির চূড়ান্ত করা হবে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকাগুলোকে আমরা কীভাবে পুনর্মূল্যায়ন করব, এগুলোর লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে, এসবও দেখা হচ্ছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, এএফপির ব্যুরো চিফ শেখ সাবিহা আলম, বিজেসির চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজা এবং টাইমস মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।