শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:০৮, ২৪ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ওজি ওসবার্নের মৃত্যুতে শোকাহত সংগীত জগতের সবাই। বিশ্বব্যাপী কোটি ভক্তের নয়নের মণি ছিলেন এ সংগীত তারকা। তবে ব্যক্তিজীবনে ওজির বিতর্কও কম ছিল না। একসময় মাদকাসক্ত ওজি জড়িয়েছেন বহু বিতর্কে।
যার মধ্যে অন্যতম একটি অধ্যায় ছিল নিজের ১৭টি পোষা বিড়াল হত্যার ঘটনা। জানা গেছে, জীবনের একটি দীর্ঘ সময় মাদকাসক্তিতে জর্জরিত ছিলেন ওজি। সেই সময়কার এক ভয়ংকর ঘটনার কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন একাধিক সাক্ষাৎকারে। বলেছিলেন, ‘আমি মাদকে ডুবে ছিলাম। মাদকাসক্তির অন্তিম পর্যায় পৌঁছানোর পর আমাদের সব বিড়ালকে আমি গুলি করে মেরে ফেলি। ১৭টি বিড়াল ছিল আমাদের। এভাবে সবগুলোই শেষ হয়ে যায়।’
১৯৮০ সালে প্রথম স্ত্রী থেলমা রাইলির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ওজির। এর পরে শ্যারন নামের এক নারী ওজি ওসবার্নকে বিয়ে করেন।
৪০ বছরের দাম্পত্য তাদের। দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিড়াল হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার সময় তার বাড়িতে স্ত্রী ছিলেন না। বাড়ি ফেরার পরে শ্যারন দেখেছিলেন, পিয়ানোর নিচে বসে আছেন ওজি। তার এক হাতে বন্দুক, আর এক হাতে ছুরি।
ওজি বহুবার অসুস্থতায় ভুগেছেন। তবে সব শারীরিক সমস্যাকে জয় করে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন মঞ্চে, গান ও সুরের সঙ্গে।
২০২২ সালে মেরুদণ্ডে একটি বড় অস্ত্রোপচারের পর তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তিনি মঞ্চে ফেরেন। ২০২৩ সালে শেষমেশ মঞ্চ থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি। তবে তারপরেও তিনি থেমে থাকেননি। জীবনের শেষ দিনগুলোতে তিনি ফিরেছিলেন মঞ্চে। তার হাত ধরে মেটাল ঘরানায় এক নবজাগরণ হয়েছিল। পাঁচবার গ্র্যামিজয়ী শিল্পী ওজি ওসবার্ন শুধু একজন শিল্পীই ছিলেন না। তিনি ছিলেন আন্দোলনের মুখ। তার গানেও ফুটে উঠত বিদ্রোহ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ