শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:০৪, ২৮ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
"মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫" উপলক্ষে আয়োজিত এ আয়োজনে সরাসরি ৪০০ ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। স্কুলভিত্তিক এই ক্যাম্পেইনে ১২০০ ছাত্রী মাসিক স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত তথ্যাবলী সম্পর্কে অবহিত হয়।
সেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম, পিএসডিআই কনসালট্যান্সির পরিচালক (ব্র্যান্ড ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. ইসহাক ফারুকী, উন্নয়নকর্মী ও চিকিৎসক ডা. পারভীন আক্তার, চিকিৎসক ডা. তনিমা মিতিলদা ঘোষ, শিশু মনোবিজ্ঞানী আইরিন পারভিন তামান্না, পিএসডিআই-এর ব্যবস্থাপক (কমিউনিকেশন ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মানস মিস্ত্রি এবং ব্যবস্থাপক (আর্টস এন্ড কালচার) তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা।
সেশনে কিশোরীরা তাদের মাসিক সংক্রান্ত নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কথা প্রকাশ করে এবং উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাসঙ্গিক পরামর্শ গ্রহণ করে। এই সচেতনতামূলক আয়োজনের পূর্বে পিএসডিআই কনসালট্যান্সি ও বিদ্যালয় যৌথভাবে একটি জরিপ পরিচালনা করে, যা মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও অভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে।
এসময় কলেজ প্রিন্সিপাল শাহনাজ বেগম বলেছেন, যে বয়সে মেয়েদের মাসিক শুরু হয় সে বয়সে বেশীরভাগ মেয়েরাই ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী থাকে। তাই ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষকদের এ ব্যাপারে ছাত্রীদের সাথে আন্তরিকতার সহিত কথা বলা বা তাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে হবে।
এসময় জরিপের বিভিন্ন তথ্যসমূহ জানানো হয়। যা হলো-
•৯৫.৫% ছাত্রী স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে এবং ৬৬% মা এটি সরবরাহ করেন।
•১০.৫% ছাত্রী প্যাড ডিসপোজাল বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখে, যা উদ্বেগজনক।
•৭৯.৭% কিশোরীর মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রথম জ্ঞানের উৎস তাদের মা। তবে ৬.৮ শতাংশ মেয়ে মাসিক নিয়ে আলোচনা করে না। আবার তারই বয়সী বান্ধবীর সঙ্গে আলোচনা করে ৩০.৮ শতাংশ মেয়ে।
•৫১.৮% ছাত্রী কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে না।
•৬৬% কিশোরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কোনো পোস্ট পড়ে না।
এই তথ্যগুলো কিশোরীদের মধ্যে মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বলে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়।
এসময় সুপারিশ করা হয়-
•পাঠ্যক্রমে মাসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
•বিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
•স্যানিটারি প্যাড ব্যবস্থাপনা ও সঠিক ডিসপোজাল বিষয়ে কার্যকর সচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণ।
•পরিবারভিত্তিক আলোচনার পরিসর বাড়াতে বাবা, ভাই ও বন্ধুদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা।
•সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিবাচক প্রচারণা চালানো এবং কিশোরীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ