শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে আনুমানিক ৭০০ ফার্মেসি চালুর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪২৯টি উপজেলা হাসপাতাল, ৫৯টি জেলা হাসপাতাল, ৩৫টি মেডিকেল কলেজ এবং ২১টি বিশেষায়িত হাসপাতালে ফার্মেসি হবে। বড় শহরগুলোতেও সরকারি উদ্যোগে ফার্মেসি খোলা হবে, যা সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ইতিমধ্যে ঔষধ শিল্প সমিতি, নাগরিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক সভা করেছে। খসড়া সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ফার্মেসি থেকে ওষুধ বিতরণ হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, যাতে অপচয় ও চুরি রোধ করা যায়।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্যসেবায় ১০০ টাকা ব্যয় করলে তার নিজের পকেট থেকে খরচ হয় ৭০ টাকা। যারমধ্যে ৬৫ টাকা ব্যয় হয় কেবল ওষুধের পেছনে। ফলে, ওষুধ সহজলভ্য হলে চিকিৎসা ব্যয় অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সালের পর এই প্রথম অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করছে সরকার। তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হতে পারে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধসহ মোট ৩০০টির বেশি ওষুধ।
রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএলকে আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে বিনিয়োগ বাড়ানো, অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাই, নতুন যন্ত্রপাতি কেনা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ওষুধ তৈরি বন্ধের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে দেশের ওষুধ শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে এপিআই বা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনে সরকারি সহায়তা ও প্রণোদনার সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদার মাত্র ৫ শতাংশ এপিআই দেশেই উৎপাদন হয়, বাকিটা আমদানি করতে হয় ভারত ও চীন থেকে।