শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:১৫, ৮ এপ্রিল ২০২৫
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ওষুধের ব্যয় কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও কার্যকর করে তোলা।’
স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত চাপ ও ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ফলে অনেক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই বাস্তবতায় সরকারি ফার্মেসি চালু করা হলে তা একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘সরকারি ফার্মেসি চালু হলে প্রায় ৮৫ শতাংশ সাধারণ রোগীর চিকিৎসা এসব ওষুধ দিয়েই সম্পন্ন করা যাবে। এটি দেশের স্বাস্থ্যখাতে একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে।’
তবে এই ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে ওষুধ চুরি ও অনিয়মের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য পুরো কার্যক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালুর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে ওষুধের মজুদ, বিতরণ ও হিসাব-নিকাশ সবকিছু প্রযুক্তিনির্ভর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রতিবছর প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করে থাকে। এখন থেকে ওষুধের বাজেট বাড়িয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী সময়মতো ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।’