শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:২৮, ৪ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পশ্চিমাঞ্চলের রান্তিসি হাসপাতালে ক্ষুধা, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় ভুগে সালেহ আল-সাকাফি নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, অপুষ্টিজনিত কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সাবধান করে বলেছে, গাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী তিন লাখ ৩৫ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর মুখে রয়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধানরা বলেছেন, মানবিক সাহায্যের ওপর ইসরায়েলি অবরোধ এবং নির্মম বিমান হামলার ফলে গাজার ফিলিস্তিনি শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, এক হাজার জনেরও বেশি শিশু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়েছে, হাজারো শিশু মেরুদণ্ড এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে, যা থেকে তারা আর কখনো সুস্থ হবে না এবং অনেকেই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন তা পূরণ করার জন্য কতটা রক্ত যথেষ্ট? আমরা আমাদের চোখের সামনেই এই ঘটনা ঘটতে দেখছি এবং আমরা এ বিষয়ে কিছুই করছি না।’
মাইক রায়ান আরো বলেন, ‘আমরা গাজার শিশুদের দেহ ও মন ভেঙে দিচ্ছি। আমরা গাজার শিশুদের অনাহারে রাখছি। আমরা এর সঙ্গে জড়িত। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি ক্ষুব্ধ। এটি একটি জঘন্য কাজ।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য সরবরাহে বাধা দিয়েছে ও দিচ্ছে। গত ২ মার্চ থেকে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে দেশটি। তার পর থেকে জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে দিয়েছে যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় স্থলভাগে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে এবং এই সপ্তাহে বলা হয়েছে যে গাজার শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টির অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫২ হাজার ৪৯৫ জন নিহত এবং এক লাখ ১৮ হাজার ৩৬৬ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ