ঢাকা, রোববার, ০১ জুন ২০২৫

১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

যুদ্ধবিরতি সামনে রেখে জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব হামাসের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫:৩২, ১৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪৯, ১৮ মে ২০২৫

যুদ্ধবিরতি সামনে রেখে জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব হামাসের

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন এক প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় আরো কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গত শনিবার (১৭ মে) কাতারের দোহায় নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস এই প্রস্তাব দেয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় নতুন করে বড় ধরনের অভিযান শুরু করার কয়েক ঘণ্টা পর দোহায় আলোচনা শুরু হয়।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে নতুন করে ৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।

একই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আরো বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৪০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবে। চিকিৎসার জন্য রোগীদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। বিনিময়ে ইসরায়েল অবশিষ্ট জিম্মিদের জীবিত থাকার প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য দাবি করেছে। দোহায় কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নতুন এই যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে আলোচনা শুরু হয়।

প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েল এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েল বলেছিল, তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না, কিংবা যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেবে না।

গতকালই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে গাজার উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন হাসপাতালসহ শরণার্থীশিবিরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কারণ, ১০ সপ্তাহ ধরে গাজায় খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ।

সূত্র: বিবিসি

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ

আরও পড়ুন