ঢাকা, রোববার, ০১ জুন ২০২৫

১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

বহিঃশক্তির কাছে মাথা নত করবে না ইরান: মাসুদ পেজেশকিয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:২০, ২০ মে ২০২৫

বহিঃশক্তির কাছে মাথা নত করবে না ইরান: মাসুদ পেজেশকিয়ান

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তার দেশ কখনোই বাইরের কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তির সুবিধা থেকে ইরানিরা বঞ্চিত হবে না। তিনি বলেন, পরমাণু শক্তিকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিল্পখাতে ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের কল্যাণে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত থেকে কোনোভাবেই সরে আসবে না তেহরান।

সোমবার (১৯ মে) তেহরানে ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন পেজেশকিয়ান। বৈঠকের বিষয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান যে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু প্রযুক্তির ব্যবহার করছে, তা নিয়ে যদি যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো পক্ষের উদ্বেগ থাকে, তাহলে সেই উদ্বেগ দূর করার জন্য তেহরান প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বাইরের কোনো চাপের মুখে এই কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না। ইরান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে কারো অনুমতির অপেক্ষা করে না।

ইরান-ইরাক সম্পর্ক নিয়ে পেজেশকিয়ান বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পারস্পরিক অংশীদারিত্ব গড়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে। তিনি দুই দেশের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোর গভর্নরদের মধ্যে ভালো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরো ত্বরান্বিত করবে। সড়ক ও রেলপথসহ যৌথ অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

পেজেশকিয়ান জানান, ইরান তার বিভিন্ন খাতে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ইরাকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আগ্রহী। বিশেষ করে পরমাণু প্রযুক্তির ব্যবহার যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে ওষুধ উৎপাদন, কৃষি এবং শিল্পে প্রয়োগ করা হচ্ছে, তা ইরাকের উপকারে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বৈঠকে ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন বলেন, বাগদাদ ও তেহরানের সম্পর্ক বর্তমানে ইতিবাচক ও গতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, প্রতিদিনই দুই দেশের বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে আরো গভীর হতে পারে। তিনি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক সহযোগিতাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখার আহ্বান জানান এবং বলেন, ধর্মীয় ও সামাজিক ঘনিষ্ঠতা দুই দেশের জনগণের মাঝে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরি করেছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন