শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:০০, ৯ মে ২০২৫
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম আয়োজিত ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের সময়ের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিমানবন্দর দিয়ে চলে গেছেন দেশ ছেড়ে। আমরা দেখেছি ৫ আগস্ট আরেকজন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তিনিও অনেকটা এভাবেই পালিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে যে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি তার এই দেশত্যাগের ব্যাপারে কিছুই জানে না। ঘটনাটি গতকালকের। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যতজন মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে প্রত্যেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার কী জানে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এমন অভিযোগও উঠেছে সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে অন্তর্বর্তী সরকার একদিকে যেমন হয়ত পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অপরদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে নানা ইস্যু সৃষ্টি করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী যে রাজনৈতিক দলগুলো আমরা যারা মাঠে ছিলাম, সেই দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা ক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছে। সরকার পলাতক স্বৈরাচারদের সহযোগীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রও হয়ত তৈরি করতে চাইছে। এই বিষয়গুলো ঘুরে ফিরে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।’
‘বিএনপি প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এখনো সহযোগিতা-সমর্থন অব্যাহত রেখেছে’ মন্তব্য করে তারেক বলেন, ‘কিন্তু যদি আমরা খেয়াল করে দেখি, বিভিন্ন কারণে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারছে কিনা, এ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ‘২০১৩ সালে র্যাব সদস্যরা ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনকে গুম করে। আজ পর্যন্ত আমাদের এই সহকর্মীর হদিস আমরা পাইনি। স্বৈরাচারের শাসনকালে সারা বাংলাদেশে এরকম অসংখ্য সুমনদের গুম-খুন-অপহরণ করা হয়েছিল। গুম হওয়া সুমনের বোনের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে গঠিত হয়েছিল সামাজিক সংগঠন মায়ের ডাক। অত্যন্ত আশ্চর্য ও উদ্বেগের বিষয় হলো গুম হওয়া সুমনকে ধরার জন্য গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় সুমনের বোনের বাসায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এখন প্রশাসন বলছে তারা নাকি সুমন সম্পর্কে জানত না।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকলে কেউই কিন্তু নিরাপদ নয়। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। একমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনই নিশ্চয়তা দিতে পারে নাগরিকদের নিরাপত্তার।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিতের অন্যতম পূর্বশর্ত জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠা। নির্বাচিত সরকারকে জনগণের প্রতি মুখাপেক্ষী করে দেওয়া গেলে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন টেকসই হয়।’