শিরোনাম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৩৯, ৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪০, ৯ মে ২০২৫
নিহত বিএনপি কর্মী ইয়াসিন আলী স্বপন মিয়া (৩৫)। ছবি: সংগৃহীত
নিহত ইয়াসিন আলী স্বপন মিয়া ওই এলাকার রজব আলীর ছেলে। তিনি আনন্দ মোহন কলেজের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি ওই এলাকায় মুদি দোকান চালাতেন এবং বিএনপির রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি চার মেয়ে সন্তানের জনক। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে নিহত ইয়াসিন আলী স্বপনের চাচা পারভেজকে হত্যা করে দিলীপ ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনায় মামলার পর দিলীপ জেলেখানায় ছিলেন। আনুমানিক এক বছর আগে জামিনে ছাড়া পান দিলীপ। এরপর থেকে মাদক ব্যবসা ও এলাকায় এক আতঙ্কের নাম দিলীপ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে স্বপনের দোকানের সামনে আমির হোসেনকে কুপিয়ে আহত করে দিলীপ ও তাঁর সহযোগীরা। পরে ইয়াসিন আলী স্বপন দোকান থেকে বের হতেই দিলীপ ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন আলী স্বপন ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা আহত আমির হোসেনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নিহতের চাচা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘২০২২ সালের ১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলায় খুন হন আমার ভাই পারভেজ। ওই হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান আছে। এ কারণে ওই মামলার আসামি দিলীপ বেশ কিছুদিন ধরে পারভেজ হত্যা মামলা আপসের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো। মূলত, ওই ঘটনার জের ধরেই আমার ভাতিজা ইয়াসিন আলী স্বপন মিয়াকে আসামিরা ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে।’
নিহতের চাচাতো ভাই মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘ইয়াসিন আলী ব্যবসায়ী এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যারা তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে তারা পারভেজ হত্যা মামলার আসামি এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিহতের পরিবারের সঙ্গে খুনিদের হত্যা মামলাসহ নানা বিষয়ে পূর্ববিরোধ চলছিলো। এর জেরে এ ঘটনা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত তদন্তে জানা যাবে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ