শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৪৪, ১৫ জুন ২০২৫
ইমপেরিয়াল হসপিটাল । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
নবজাতকের মা শারমিন আক্তার নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে গর্ভকালীন ব্যথা শুরু হলে তাকে ইমপেরিয়াল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স রুবি আক্তার জানান, মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন এবং নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে স্বজনদের অভিযোগ, শারমিন আক্তার পূর্বে সিজারিয়ান ছিলেন। তা জানা সত্ত্বেও ডাক্তার ছাড়াই নার্সরা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা চালান এবং পরে নিজেরাই অপারেশন করেন। এতে নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং মা প্রচুর রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শারমিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে দ্রুত ঢাকায় রেফার করেন। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
রোগীর মা রোজিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ে আগেও সিজারে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। সেটা জেনেও ওরা কেন নরমালের চেষ্টা করল? ওখানে কোনো ডাক্তারই ছিল না। ওরা আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
রোগীর খালা বলেন, ডাক্তার ছাড়া কীভাবে অপারেশন হলো? বাচ্চা তো মারা গেছে, এখন মায়ের জীবনও হুমকির মুখে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ইমপেরিয়াল হসপিটালের চেয়ারম্যান মীর মিয়া বলেন, আমাদের ভুল হয়েছে, ডাক্তার ছাড়া অপারেশনে যাওয়া ঠিক হয়নি।
এদিকে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের টিম হাসপাতালে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর বশির আহমেদ বলেন, হাসপাতালটির লাইসেন্স ও অনুমোদন যাচাই করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ