ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

৩৬ দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২১:৩০, ১৫ জুন ২০২৫

৩৬ দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মুসলিমপ্রধান একাধিক দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তাঁর প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশকে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি করার পরিকল্পনা করছে। এ তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট শান্তিপূর্ণ দেশ ভুটানও।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি লিখিত বার্তা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন ভিসা ও ভ্রমণসংক্রান্ত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে এই ৩৬ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আফ্রিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।

কেন এই নিষেধাজ্ঞা?

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই দেশগুলো—

-নির্ভরযোগ্য পরিচয়পত্র বা নাগরিক তথ্য দিতে ব্যর্থ।

-সরকারি দুর্নীতিতে জর্জরিত।

-এমনকি কিছু দেশের নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন না।

-অনেকেই ‘ইহুদিবিদ্বেষী ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’ কর্মকাণ্ডেও জড়িত।

এছাড়া কিছু দেশ অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্ব দেয়—বাসস্থানের কোনো শর্ত ছাড়াই। এতে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সময়সীমা ও পরবর্তী পদক্ষেপ

ওই বার্তায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শর্ত পূরণে দেশগুলোকে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে এসব দেশকে তাদের প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলতে চায়নি।

যেসব দেশ নজরদারিতে

এই ৩৬টি দেশের তালিকায় রয়েছে—ভুটান, জিবুতি, মিসর, কম্বোডিয়া, কিরগিজস্তান, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, ঘানা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়েসহ আরও অনেক দেশ। এর আগে ৪ জুন ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেনসহ ১২ দেশের নাগরিকদের জন্য পূর্ণ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী বছরে অভিবাসন ইস্যুকে আবারও সামনে এনে ভোটারদের মন জয় করার কৌশল নিচ্ছেন ট্রাম্প। তবে একই সঙ্গে এতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে, তা শুধু কূটনৈতিক নয়, বহু মানুষের জীবন ও চলাচলকেও কঠিন করে তুলবে—বিশেষ করে শিক্ষার্থী, চিকিৎসা-সহায়তা ও ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণকারীদের জন্য।

এমআরএইচ

আরও পড়ুন