শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৩২, ১৫ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
কূটনীতিকদের সামনে দেওয়া এক বক্তব্যে আরাঘচি বলেন, যদি আগ্রাসন বন্ধ হয়, আমাদের জবাবও বন্ধ হবে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুই দেশের পারস্পরিক হামলা চলছেই। আজ রবিবারও ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার রাতেও হামলা হয়েছে। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও।
অন্যদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া আরো সাতজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি পরিষেবার সদস্যরা। জরুরি পরিষেবা এবং স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উত্তর আরব শহর তামরাতে হামলায় আরো চারজন নিহত হয়েছেন।
চিকিৎসক এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হাইফা এবং তেল আবিবসহ ইসরায়েলজুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে ইসরায়েলে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাইফা এবং কিরিয়াত এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র মাটিতে আঘাত করেছে নাকি বাধা দেওয়া হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে ইরান শনিবার রাতভর ইসরায়েলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। রাতভর হামলার পরের সকালকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
হারজোগ বলেন, ইরানের এই অপরাধমূলক হামলায় ইহুদি ও আরব, ইসরায়েলি নাগরিক ও নতুন অভিবাসী— শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে— নিহত ও আহত হয়েছেন।
শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই ভয়াবহ ক্ষতির কারণে তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে শোক ভাগ করে নিচ্ছেন। আহতদের সুস্থতা কামনা করছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করছেন। তারা একসঙ্গে শোক করবেন। একসঙ্গে এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠবেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ