ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬
শিরোনাম
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:২০, ১৫ জুন ২০২৫
উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগাপাড়া এলাকার মো. নুর আলমের স্ত্রী বেবি আক্তারকে গত শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানা ইয়াসমিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, রোগীর পেটে পানি না থাকায় দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন প্রয়োজন। সেদিন সন্ধ্যা ৬টায় সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
অপারেশনের সময় ডা. রিজওয়ানা ইয়াসমিন, ডা. নিহার রঞ্জন এবং ওটি সহকারী বিপুল সরকার উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, অপারেশনের পর রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও কোনো কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে রবিবার ভোরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেবি আক্তারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লিনিক ঘেরাও করে চিকিৎসকদের বিচার দাবি করেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় পুলিশ জনতা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব, সেবিকা মোছা. সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে আটক করেছে। বেবি আক্তারের স্বামী মো. নুর আলম এ ঘটনায় ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ উঠেছে যে, ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পলাতক রয়েছে।
রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক তদন্তে চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় জনতা ক্লিনিককে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
ডা. রায়হান বারী বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইউএনও শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, “ভুল চিকিৎসার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর ইসলাম অভিযোগ ও তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ
