শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:১৪, ১৬ জুন ২০২৫
তাদের দাবি, ইরানে ব্যাপক হামলা শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা খামেনিকে হত্যার একটি সুযোগ পেয়েছিল। তারা সেই পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানালে ট্রাম্প তাতে সম্মতি দেননি। মার্কিন ওই কর্মকর্তাদের একজন বলেন, “ইরানিরা এখনো পর্যন্ত কোনো আমেরিকান নাগরিককে হত্যা করেনি। তাই তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে হত্যা করার কথা ভাবার প্রশ্নই আসে না।”
তবে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলকে সেই বার্তা দিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি তারা। রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সামরিক উত্তেজনা শুরুর পর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘন ঘন যোগাযোগ হচ্ছে।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বায়ার’ অনুষ্ঠানে বলেন, “অনেক ভুয়া রিপোর্ট ছড়ানো হচ্ছে, যেগুলোর কোনো কথোপকথনই আদৌ হয়নি। আমি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।” তবে তিনি যোগ করেন, “আমরা যা দরকার, তা করব। আর আমি নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্রও জানে তাদের জন্য কোনটা ভালো।”
সম্প্রতি ওমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের কারণে সেটি বাতিল হয়েছে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইসরায়েলি হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াশিংটন শুরু থেকেই অবগত ছিল।
রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুও স্বীকার করেন, ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরুর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবহিত করেছিল।
এমআরএইচ