শিরোনাম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:৪৪, ১৫ জুন ২০২৫
মোকছেদুল ইসলাম । ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ জুন) এ ঘটনা জানাজানি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা এলাকার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
সন্তান জন্মের সংবাদ পেয়ে স্বামী মোকছেদুল ইসলাম বুধবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় শাশুড়ির হাতে একটি মিষ্টির কার্টন ধরিয়ে দেন। পরে মিষ্টিমুখ করার জন্য শাশুড়ি কার্টন খুলে দেখতে পান সেখানে কোনো মিষ্টি নেই, আছে মাটি ও ইটের গুঁড়া।
এ বিষয়ে স্ত্রী আছমা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করতেন। মাঝেমধ্যে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাইতেন। আমরা গরিব মানুষ, তাই টাকা দিতে পারি নাই। এদিকে আমার গর্ভে সন্তান এসেছে, এ খবর জানার পর আরও বেশি নির্যাতন করতেন। তিনি বলতেন, ছেলে হলে সুখ পাবে, আর মেয়ে হলে দুঃখ পাবে।
আছমা আরও বলেন, পরে আমার মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। এ সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী আমাদের বাড়িতে মিষ্টির কার্টন নিয়ে হাজির হন। বাড়ির লোকজন ও পাড়া প্রতিবেশীকে মিষ্টি দিতে গেলে কার্টনে মাটি ও ইটের গুঁড়া পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমার কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার কথা শুনে আনন্দে শ্বশুরবাড়িতে এক কেজি মিষ্টি ও মেয়ের পোশাক নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিষ্টির কার্টনে নাকি মাটি-ইটের গুঁড়া দেখছে। এগুলো সব সাজানো।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে কখনো কোনো নির্যাতন করিনি। যারা এসব করাচ্ছে যারা আল্লাহ তাদের বিচার করবে।
এ ব্যাপারে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা যাবে আসলে ঘটনাটি কী ঘটেছিল।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ