শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২১, ১০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩৮, ১০ জুন ২০২৫
মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে।”
১. হাত ধোয়া: নিয়মিতভাবে সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
২. জনসমাগম এড়ানো: অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়িয়ে চলা এবং বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
৩. দূরত্ব বজায় রাখা: আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. স্পর্শ না করা: অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার: হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের সাহায্যে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) সংরক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যদি কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গ গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর ০১৪০১-১৯৬২৯৩–এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনার নতুন রূপ কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়, তবে সাবধানতা ও সচেতনতাই হতে পারে আমাদের সুরক্ষার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাই স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা এখন সময়ের দাবি।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনই সচেতন ও প্রস্তুত হতে হবে—নিজেদের এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ