শিরোনাম
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:৫৬, ৬ মে ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৭, ৬ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং-১-এর আদালতে গত রবিবার মামলাটি করেন সাদিয়া রহমান মিথিলা নামে এক নারী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তদন্তের জন্য আদেশ দেন।
বগুড়ার এরুলিয়া পশ্চিমপাড়ার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হিরো আলম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিম।
বাদীর অভিযোগ, তাকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন হিরো আলম। এরপর তিনি বিয়ের আশ্বাসে তাকে ধর্ষণ করেন। মৌলভী ডেকে তাকে ‘বিয়ে’ করে হিরো আলম বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকেন। এরই মধ্যে হিরো আলম ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে হিরো আলমকে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হলে অন্য আসামিরা গত ২১ এপ্রিল তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। ওই দিন তাকে বগুড়া শহরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা নেন।
হিরো আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।’
পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার শাহ মমতাজুল ইসলাম জানান, সোমবার আদালত থেকে কিছু মামলা তদন্তের জন্য এসেছে৷ আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী গুরুত্ব সহকারে মামলা তদন্ত করা হবে৷
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ