শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৫৮, ৯ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনা চীনের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে ভারতের বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্রের কাছে মন্তব্য জানতে চেয়েছিল রয়টার্স। জবাবে তিনি তার কোনো মন্তব্য নেই।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান। সে রাতে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান। যদিও নিজেদের যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করেনি ভারত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান যে চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং তাতে অন্তত দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে, এটি নিশ্চিত।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ভূপাতিত করা ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল।
উভয় মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পাকিস্তানের হাতে থাকা এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়নি।
এফ-১৬ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা, বিমান, মহাকাশ ও নিরাপত্তা প্রযুক্তিনির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে রাফাল যুদ্ধবিমানের নির্মাতা ফ্রান্সের কোম্পানি দাসো অ্যাভিয়েশন।
গত বুধবার ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে দেশটির তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বৃহস্পতিবার (৮ মে) রয়টার্সকে বলেন, ফ্রান্সের তৈরি তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারও নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। দুই দেশের মধ্যে দুই দিনের সংঘাত এরই মধ্যে অন্তত অর্ধশত লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে পেহেলগামে হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ