শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৪৯, ৯ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের উত্তেজনা কমাতে চেয়েছিল। কিন্তু এটি মূলত আমাদের কোনো বিষয় নয়।’
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, আমরা যা করতে পারি তা হলো— তাদের উত্তেজনা কমাতে কিছুটা উৎসাহিত করার চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা এমন কোনো যুদ্ধে জড়াবো না, যা মূলত আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং যেখানে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
ভ্যান্স আরো বলেন, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো ভূমিকায় যাচ্ছে না, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি দুই দেশকেই ভালোভাবে চিনি। আমি চাই তারা নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলো মিটিয়ে নিক। আমি চাই তারা এই সংঘাত বন্ধ করুক।
গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারান; যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালায় বলে দাবি। জম্মু, আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা ও হিরানগর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো সফলভাবে প্রতিহত করে। পাঠানকোটে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ও রাজস্থানের জয়সলমেরে পাকিস্তানি ড্রোন আটকানো হয়।
এই ঘটনার পর চণ্ডীগড়, মোহালি ও শ্রীনগরসহ কয়েকটি শহরে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলার চেষ্টা করেছিল। তবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত তা প্রতিহত করে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
যদিও নয়াদিল্লির এ দাবি ইসলামাবাদ প্রত্যাখ্যান করেছে। আল জাজিরাকে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় মিডিয়ায় ‘গুজবের বন্যা’ বইছে। মূলত, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়- পাকিস্তানের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, দুজন পাকিস্তানি পাইলটকে আটক করা হয়েছে, লাহোরে হামলা হয়েছে, করাচি বন্দরে ভারতীয় নৌবাহিনী হামলা চালিয়েছে। তবে এর কিছুই ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক এ সূত্রটি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ