শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:০৭, ৮ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
দিনটি উদযাপন করা হয় গাধার অবদান স্মরণ এবং এই পরিশ্রমী প্রাণীটির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে।
পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে কৃষিকাজ, এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও গাধার অবদান অনস্বীকার্য। গাধা দীর্ঘকাল ধরে মানুষের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে এসেছে। নির্মাণকাজে ভার বহনে, কৃষিকাজে জমি চাষে কিংবা চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে— সব ক্ষেত্রেই এ প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
বিশ্ব গাধা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো এই প্রাণীটির প্রতি যত্নশীল মনোভাব গড়ে তোলা এবং তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা। দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও গাধার খাদ্য ও পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়। মানুষকে উৎসাহ দেওয়া হয় এসব সংস্থাকে অর্থসহায়তা দিতে।
চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গাধা আছে। সেখানে গাধার চামড়ায় থাকা একটি আঠালো পদার্থ ব্যবহৃত হয় ওষুধ তৈরিতে; যা হাঁপানি ও অনিদ্রার মতো রোগের চিকিৎসায় উপকারী। তবে ওষুধ শিল্পে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে চীনে গাধার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
এই দিবসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, গাধা কোনো ‘বোকা’ প্রাণী নয়— বরং এটি নিঃস্বার্থভাবে সব সহ্য করে নিরলস পরিশ্রম করে যায়। তাই গাধার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন।
বিশ্ব গাধা দিবস পালনের মাধ্যমে আমরা এ প্রাণীটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও যাতে এটি আমাদের জীবনযাপনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিশ্চিত করার বার্তা পাই।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ