শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২৯, ৩০ মে ২০২৫
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং, জুয়া ও জালিয়াতি চক্রকে অতি দ্রুত চিহ্নিত করে নগদে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে দেশের প্রখ্যাত আর্থিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নগদের জন্য একটি নতুন বোর্ড গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ফয়েজ আহমদের পোস্টে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ মে নগদ কর্তৃপক্ষ মূল লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োজিত প্রশাসকের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ আসার পরপরই নগদে অস্থিরতা শুরু হয়।
এই সুযোগে তানভির মিশুক ও শাফায়াত গং নিজেদের সিইও দাবি করে প্রতিষ্ঠান চালাতে থাকেন। এমনকি শাফায়াত একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা মুইজকে হেড অফ এইচআর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে একাধিক কর্মকর্তা বরখাস্ত ও বদলি করেন।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, শাফায়াতের পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি জানুয়ারি থেকে দেশের বাইরে ছিলেন—মালয়েশিয়ায়। তবে তদন্তে উঠে আসে, তিনি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সিআইডির অভিযান শুরু হওয়ার আগেই তিনি পালিয়ে যান।
মুইজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রমাণ না থাকলেও সিআইডি তাকে নজরদারিতে রেখেছে এবং ভবিষ্যতে নতুন তথ্য পেলে তাকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ জানান, ডাক বিভাগ এখন জনাব তালেবকে নতুন ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তাকে তিন মাসের আর্থিক হিসাব তৈরি, অনিয়মের রিপোর্ট প্রকাশ, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনর্বহাল, বেতন-বোনাস প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৪ বছর ধরে বন্ধ থাকা সফটওয়্যার ও ফিচার আপগ্রেড শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২৯ মে নতুন ভারপ্রাপ্ত সিইও শাফায়াত ও মিশুকের ইমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তার পোস্টে আরও লেখেন, “ডাক বিভাগ তার দায়িত্ব পালন করেছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এবং ফরেনসিক তদন্তের মাধ্যমে নগদে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে এবং সিআইডিকে সার্বিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ