শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:২৩, ২৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৪, ২৭ মে ২০২৫
সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমি বোর্ডের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছি এবং তারা তা গ্রহণ করেছে। এখন এটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংকও গ্রহণ করবে। এখানে কোনো ধরনের চাপ বা অভ্যন্তরীণ সমস্যার বিষয় নেই। সিদ্ধান্তটি একান্তই ব্যক্তিগত।”
ব্যাংকের কর্মীদের উদ্দেশে লেখা এক বিদায়ী বার্তায় সেলিম হোসেন বলেন, ‘প্রিয় সহকর্মীরা, সব ভালো জিনিসেরই যেমন শেষ আছে, তেমনি ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়েরও শেষ হতে চলেছে। আজই সম্ভবত আমার ব্র্যাক ব্যাংকে শেষ কর্মদিবস। গত প্রায় এক দশক ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জীবনের একটি বড় সম্মান ও প্রাপ্তি।’
তিনি আরও লেখেন, “আমরা একসঙ্গে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ব্র্যাক ব্যাংক ভবিষ্যতেও তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এবং দেশের অর্থনীতি ও সমাজে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”
বিদায়ী বার্তার শেষাংশে তিনি সহকর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করে লেখেন, “আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।”
২০১৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে যোগ দেন সেলিম আর. এফ. হোসেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্যাংকটি ডিজিটাল ব্যাংকিং, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখে এবং একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তাঁর বিদায় ব্যাংকটির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা করল।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ