ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, গাজায় যুদ্ধ থামার আশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২১:২৩, ২৬ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, গাজায় যুদ্ধ থামার আশা

গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে হামাস। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পাঠানো এই প্রস্তাবে গোষ্ঠীটি সম্মতি জানিয়েছে বলে হামাসঘনিষ্ঠ এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাতে সোমবার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রস্তাব অনুযায়ী, দুই ধাপে ইসরায়েলের ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহার এবং ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করা হবে।

এছাড়া, প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে— ইসরায়েল বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত কয়েক শতাধিক বন্দিও রয়েছে।

তবে ইসরায়েল এখনো এই প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে আগের যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যত বাতিল করে নতুন সামরিক অভিযান শুরু করে। এর দুই দিন পর হামাস ও তাদের মিত্র সংগঠনগুলো পাল্টা রকেট হামলা চালায়।

হামাস জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল গাজা থেকে পুরোপুরি সরে যায়, তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে অপহৃত বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— ইসরায়েল কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, তাও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে। তার ভাষায়, “হামাস সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী অন্তত ১,২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং উপত্যকার অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে চরম অপুষ্টি এবং মানবিক বিপর্যয় মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন