শিরোনাম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৮, ২০ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৯, ২০ মার্চ ২০২৫
জানা গেছে, গত প্রায় ৪ মাস আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকার দালাল বোরহান বেপারীর মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা চুক্তিতে ইতালি যাওয়ার কথা হয় সজিবের। তবে দালাল বোরহান সজিবকে সরাসরি ইতালি না নিয়ে লিবিয়া নেয়। একই সাথে তার চাচাতো ভাই রাকিবও ঘর ছাড়ে ইতালির উদ্দেশ্যে। লিবিয়া থেকে সরাসরি ইতালি নেয়ার জন্য গেম দেবার কথা বলে সজিব ও রাকিবকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয় দালালচক্র। দুই দফা বিক্রি করে সজিবকে। বন্দী হয় মাফিয়াদের হাতে। মারধর করে দফায় দফায় ৪৬ লাখ টাকা আদায় করে দালাল চক্র। এরপর থেকেই চলে নির্যাতন। নির্যাতনের ভিডিও বাড়িতে পাঠিয়ে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।
লিবিয়ার বন্দিশালায় পালাক্রমে নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন সজিব ও রাকিব। এক পর্যায়ে সজিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে লিবিয়াতে থাকা আরেক দালালের তত্ত্বাবধানে ছেড়ে দেয়া হয়। বুধবার সজিবের অবস্থা খারাপ দেখে মাফিয়ারা রাস্তায় ফেলে যায়। পরে খোঁজ নিয়ে লিবিয়ায় থাকা পরিচিত কয়েকজন সজিবকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে। পরে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সজিবের বাবা চান মিয়া সরদার বলেন, ‘আমার ছেলেকে দালাল বোরহান ইতালি নেয়ার কথা বলে লিবিয়া নিয়ে যায়। সেখানে বিক্রি করে দেয়। চার মাস আটকে রেখে মারধর করে। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। মারতে মারতে আমার ছেলেটা গতকাল মরে গেছে।'
নিহত সজীবের বোন শামীমা আক্তার বলেন, ‘দফায় দফায় ৪৬ লাখ টাকা দিয়েও ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না। জমি-জমা বিক্রি করে দিছে ওর জন্য। সরকারের কাছে আমার ভাইয়ের লাশ যেন বাড়ি আসে এই দাবি জানাই। আর দালাল বোরহানের ফাঁসি চাই!'
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, ‘বিষয়টি মর্মান্তিক। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। মরদেহ আনার বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’