শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৪৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১১, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
কীভাবে এসব আসামির নাম উল্লেখ করা হলো, তা জানতে চাইলে বাপ্পি বলেন, ‘ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। কিছু তথ্য পুলিশ ও আইনজীবীরাও দিয়েছেন। আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম না, তাই কে কীভাবে যুক্ত হলো, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।’
ইরেশ যাকেরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভাই, আমি সবাইকে কীভাবে চিনব? ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়, আমি থাকি নওগাঁয়।'
বাপ্পি আরও বলেন, ‘পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনের সময় কিছু নাম যুক্ত করেছে, আইনজীবীরাও কিছু নাম দিয়েছেন। আমি নিজেও পত্রিকা থেকে তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের নাম দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একা কোনো ব্যক্তির পক্ষে এত বড় মামলা করা সম্ভব না। যদি শুধু আমি করতাম, ৫-১০ জন বা সর্বোচ্চ ২০-৫০ জনের নাম দিতাম।’
ঘটনার প্রায় নয় মাস পর মামলা করার কারণ জানতে চাইলে বাপ্পি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে।’ নিজের পেশা সম্পর্কে তিনি জানান, তিনি ছোট পরিসরে চালের ব্যবসা করেন। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘না, আমি কোনো রাজনীতিতে জড়িত নই।’
গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় মিরপুরে গুলিতে নিহত হন নওগাঁর মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহফুজ আলম শ্রাবণ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকের, শেখ হাসিনা ও আরও ৪০৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইরেশ যাকের মামলার ১৫৭ নম্বর আসামি।
এদিকে, ২৫ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) কর ফাঁকির অভিযোগে ইরেশ যাকেরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেডের (এমসিএল) সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এশিয়াটিক এমসিএল হলো এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির প্রধান প্রতিষ্ঠান। ইরেশ যাকের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তার মা সারা যাকের চেয়ারপার্সন।
ইরেশ যাকেরের নাম মামলায় আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।