শিরোনাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১:১০, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ফসলের মাঠে ধান কাটতে গিয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও উপজেলা আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে দুজনের মৃত্যুর ঘটনাটি জানান স্থানীয়রা। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। ঘটনার পর স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে জুয়েল ভূঁইয়া নিজের জমিতে এবং নিখিল অন্যের জমিতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই কিশোর। তারা হলো ওই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও খোকন মিয়ার ছেলে মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান নামের সাড়ে ৭ বছরের এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে দুই কিশোরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এ ছাড়া একটি শিশু আহত হয়েছে। স্বজনেরা ওই দুজনের মরদেহ নিয়ে গেছেন।’
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকাল পৌনে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। ইন্দ্রজিৎ উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ্র দাসের ছেলে। স্বাধীনের বাবার নাম ইদ্রিস মিয়া; বাড়ি খয়েরপুর গ্রামে।
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে ইন্দ্রজিৎ ও স্বাধীন নামের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে বজ্রপাতে ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর স্ত্রী। মিঠামইন থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস বলেন, বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাতে দেওয়ার সময় বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম।
নেত্রকোনা
সোমবার সকাল সাতটার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে এক ছাত্র বজ্রপাতে নিহত হন। নিহত ছাত্রের নাম মো. আরাফাত (১০)। আরাফাত ওই গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে। সে তিয়োশ্রী মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
অন্যদিকে গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে নিজ বাড়িতে বজ্রপাতে আহত হন দিদারুল ইসলাম (২৮)। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে সকালে বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রিমন আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। একপর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের কচুয়ায় বজ্রপাতে বিশাখা রানী (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের নাহারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিশাখা ওই এলাকার কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী।
কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম জানান, বাড়ির পাশে স্বামী–স্ত্রী মিলে নিজ জমি থেকে ধান তুলছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে বিশাখা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ