শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৩৮, ৫ মে ২০২৫
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আইনজীবী প্রাণনাথ হাজি সেলিমের দেওয়া টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাঁর মক্কেলের জাহাজের ব্যবসা রয়েছে। তিনি কারাগারে ডিভিশনও পেয়েছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির অংশ কেটে নিজের কাছে রেখেছিলেন। সেটি তিনি আজ তাঁকে দিয়েছেন।’
টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আদালতে হইচইয়ের পর হাজি সেলিম তাঁর আইনজীবীর কাছে পুত্রবধূ আসেনি কেনো জানতে চান। এ সময় আইনজীবী পুত্রবধূর লেখা একটি চিঠি হাজি সেলিমকে দেখান। আইনজীবী সেই চিঠি পড়ে শোনান। কাঠগড়ার উত্তর পাশের কাছেই ছিল বারান্দা। সেখান থেকে আদালতের বারান্দার অংশ স্পষ্ট দেখা যায়। হাজি সেলিম আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
এ সময় আত্মীয়স্বজনদের কেউ কেউ হাজি সেলিমকে দেখে কাঁদতে থাকেন। হাজি সেলিমও কাঁদতে থাকেন। তিনি সবার উদ্দেশে উড়ন্ত চুমু দেন। শুনানি শেষে সিঁড়ি থেকে নামানোর সময় হাজি সেলিম আরেক দফা পুলিশ সদস্যদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। কাঠগড়ায় নেওয়ার পর পুলিশের একজন সদস্য হাজি সেলিমের হেলমেট খুলে দেন। তখন দেখা যায়, হাজি সেলিমের লম্বা সাদা চুল আর দাঁড়ি। পিপি জানান, হাজি সেলিম চুল, দাঁড়ি কাটেন না।
হাজি সেলিম আইনজীবীর কাছে জানতে চান, তাঁকে আরও কত দিন কারাগারে থাকতে হবে? ইশারায় আরও এক বছর থাকতে হবে কি না, জানতে চান। আইনজীবী প্রাণনাথ ইশারায় দুই মাস থাকতে হবে বলে জানান। এ কথা শোনার পর হাজি সেলিম হাসতে থাকেন।