ব্রেকিং
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫০, ৫ মে ২০২৫
মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে দেয়া গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স তদন্ত করে দেখা হবে। ভুয়া সাংবাদিকদের খুঁজে বের করা হবে। সরকারকে প্রশ্ন করতে হবে, সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার দায়িত্বশীল হয়।
তবে প্রশ্ন আর প্রোপাগান্ডা ভিন্ন ইস্যু। বেশ কয়েকটি পত্রিকা এখনও জুলাই অভ্যুত্থান না লেখে ক্ষমতার পটপরিবর্তন লেখে যেটা দুঃখজনক। গণমাধ্যম এতবড় অভ্যুত্থানকে কেবল আন্দোলন নামে চালিয়ে দিচ্ছে, এটা খুবই হতাশা আর দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘কোন সংবাদ মাধ্যমে আঘাত করতে দেয়া হচ্ছে না, হবেও না। কোন হয়রানিমূলক মামলা হলে পর্যালোচনা করা হবে। এখন অবধি যত মামলা হয়েছে, সব তদন্ত করে দেখা হবে।’
কোন সাংবাদিকের চাকরি গেলে নিয়ম মেনেই যেতে হবে। হুট করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার কোন সুযোগ নেই। দীপ্ত টিভির নিউজ মালিকপক্ষ বন্ধ করেছে, যাতে মানুষ বুঝে সরকার করেছে। এটা হঠকারিতা। সরকারের নীতিমালা হলো কোন কিছু বন্ধ করা হবে না৷ তবে সংবাদ মাধ্যম কোন দলের হয়ে কাজ করেছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘স্মৃতিতে সব সময় ফ্যাসিবাদ ভয়ংকর এটা লালন করতে হবে। স্মৃতিতে না থাকলে এই কালো অধ্যায় মানুষ ভুলে যাবে। শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনার শাসনামল কোন কালের সাথেই মিলে না। এরশাদ স্বৈরাচার হলেও শেখ হাসিনাকে বলা হয় ফ্যাসিস্ট। যার কারণ, এরশাদের লোকবল কম ছিলো অথচ আওয়ামী লীগের মুজিব আর হাসিনার সব জায়গায় লোক ছিলো, সকল ব্যবস্থায় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পলাতক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালিয়ে থাকার পিছনে শেখ হাসিনা দায়ী। শেখ হাসিনা ছিলো শেখ পরিবারের সর্বশেষ লোক, যিনি পালিয়ে গেছেন। এর আগে শেখ পরিবারের সবাই পালিয়েছে।’