শিরোনাম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৫৪, ৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫৫, ৫ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সিইসি বলেন, ‘সেদিন আর ফিরে আসবে বলে মনে হয় না। অন্তত, যতদিন আমরা আছি। আমি যতদিন আছি এ অপবাদ নিয়ে মরতে চাই না। ১৮ কোটি মানুষের দায় নিয়ে আমি মরতে চাই না। যা করব সহি নিয়তে, সঠিকভাবে আইনকানুন মেনে করব। বিবেকের সায় নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামানিকের সভাপতিত্বে চার জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমরা সারাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার জন্য শপথ করিয়েছি। রমজানের প্রথমদিনে তারা হাত তুলে শপথ করেছেন কারো দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আইনকানুন মেনে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। অতীতে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের কর্মকর্তারা সে লক্ষ্যেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা একটি নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেটি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক চলে, সেটি নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে রাজনীতি পরিহার করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এজন্য অনেকেই আমাদের ওপর মন খারাপ করছে।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো আমরা মানছি না বলে অনেকেই আমাদের দায়ী করছেন। আমরা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সুপারিশগুলোকে সতর্কভাবে পরিহার করছি। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কথাবার্তা হয়, এটি রাজনৈতিকভাবে ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এ ছাড়া আমরা ওসব ব্যাপারে জড়িত হতে চাই না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কাউকে খুশি করার জন্য আমরা কাজ করছি না। যেকোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের সকল সদস্য মিলে নেওয়া হয়। একক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। যেহেতু দক্ষ প্রশাসন আছে, প্রশাসনকে জড়িত করে আমরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেব।’
সিইসি সম্পূর্ণভাবে একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, নিরপেক্ষ আছে এবং নিরপেক্ষ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো ধরনের প্রভাব ও চাপের কাছে আমরা মাথা নত করব না। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আমরা কাজ করছি এবং করে যাব ইনশাল্লাহ।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রকে নির্বাচিত করার প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘ইশরাক হোসেনকে শপথ করানোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশনা পালন করে গেজেট প্রকাশ করেছে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ