শিরোনাম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৩১, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। এরপর বিদ্যালয় থেকে দুই শিক্ষককে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় বিদায়ী সম্মান। শহরের কোর্ট চত্বর ঘুরে এ পদযাত্রা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফুল ছিটিয়ে প্রিয় শিক্ষকদের সম্মান জানান এবং পায়ে হেঁটে রাজকীয় সেই র্যালিতে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক সমাজ বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা রাখেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে তারা উপহার, আলোচনা সভা ও সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। একজন শিক্ষকের কাছে যেমন পাঠশালা, তেমনি ছিল পিতাসুলভ স্নেহ—এমন মন্তব্যও করেন তারা।
বিদায়ী শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শিক্ষাগুরুর মর্যাদা আমি যেভাবে পাওয়ার কথা, সেভাবেই পেয়েছি। এই আয়োজন আমাকে আবেগাপ্লুত করেছে। ২৭ বছর এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে ছিলাম। প্রতিটি ক্লাস, প্রতিটি আলাপ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিদিনের মতবিনিময়—সবকিছুই আজ থেকে থেমে গেল। এটি সত্যিই এক দুঃখের মুহূর্ত।
অন্যদিকে প্রাণ কৃষ্ণ সাহা বলেন, শিক্ষকতা মহান পেশা। আমি প্রায় ৩১ বছর এই বিদ্যালয়ে কাটিয়েছি। সব শিক্ষক সফল হন না, আবার ব্যর্থও নন। তবে যিনি এখানে আসবেন, তাকে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের ভালোবাসতে হবে। তবেই এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, বিদায় সবসময় কষ্টের। তবে এভাবে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায় আমাদের শিক্ষকদের জন্য এক স্মরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তারা আমাকে দায়িত্ব পালনে সর্বদা সহযোগিতা করেছেন, এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই দুই শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান শিক্ষার্থী-শিক্ষক সকলের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে