শিরোনাম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:১৪, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
অভিযুক্তরা হলেন—উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু, তার ছেলে ছাত্রদল নেতা খোন্দকার শফিউল আজম শিবলু, খোন্দকার শোভন আরেফিন, নাজমুল হাসান বিপু, শ্রমিকদল নেতা সহেল শেখ, মো. নান্নু বিশ্বাস, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য মো. মহসীন খান এবং বালিয়াকান্দি হাসপাতালের টেকনিশিয়ান উজ্জ্বল দাস।
অভিযোগে বলা হয়, জীবিকার তাগিদে ২০০৭ সালে ইতালীতে পাড়ি জমান মাসুম শেখ। এ সময় তার স্ত্রী পলি আক্তার চৌদ্দগ্রাম কৃষি অফিসে চাকরিরত অবস্থায় শিবলুর হয়রানির শিকার হন। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলেও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ফরিদপুরে বদলি হন পলি আক্তার।
গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দেশে এসে মাসুম শেখ জুমার নামাজ শেষে পিতার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে চুন্নু ও শিবলুসহ অন্যরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাসুম শেখ, তার স্ত্রী পলি আক্তার, জিএম মোর্শেদসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। বক্তারা বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। যৌথবাহিনীর হাতে একসময় তারা গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কার্যকলাপ চালাচ্ছে। বক্তারা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু বলেন, ইতালী প্রবাসী মাসুম শেখ বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত ইতোমধ্যে বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু আসামিরা বর্তমানে আমাদের দলে কোনো পদে নেই, তাই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপিকে জানানো হবে।
মামলার পর গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে