শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৪৬, ১৯ আগস্ট ২০২৫
মানসিক ভারসাম্যহীন ছাত্রদল নেতা সুলতান বাপ্পী, ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রমারখিল গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান বাপ্পী (আবদুল লতিফ সরকারের ছেলে) ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য মিলাদ মাহফিল আয়োজনের পর থেকে একের পর এক ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার শিকার হন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারান তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই সময় এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলতো, এত পিটানোর পরও কিভাবে সে হাঁটে! এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হতো।
বাপ্পীর ভাই মো. ছোলায়মান বলেন, বছরের পর বছর শেকলে বন্দি থেকে আমার ভাই প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছে। মানসিক হাসপাতালেও নিতে হয়েছিল। তার কোমরের নিচের অংশে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে আমরা অসহায়।
সম্প্রতি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তারেক রহমানের নজরে আসে। এরপরই তিনি বাপ্পীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বাপ্পীকে ঢাকায় আনা হয়েছে। তারেক রহমান চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন নেতাকর্মীদের নিয়ে বাপ্পীর বাড়িতে যান। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ভিডিও কলে বাপ্পীর সঙ্গে কথা বলেন।
শয্যাশায়ী অবস্থায় বাপ্পী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আবার সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। পাশাপাশি আমার পরিবারের জন্যও কোনো উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন, বাপ্পী ছিলেন আমাদের সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করাতেই একের পর এক হামলার শিকার হন তিনি। আজ তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। আমাদের বিশ্বাস, চিকিৎসার মাধ্যমে আবারও তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন এবং আন্দোলন-সংগ্রামে যোগ দেবেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী হামলায় ছাত্রদলের বহু নেতা আহত ও নিহত হয়েছেন। বাপ্পী তার জীবন্ত প্রমাণ। তারেক রহমানের উদ্যোগে এখন তার চিকিৎসা হবে, আমরা ঢাকায় থেকে তার দেখাশোনা করবো।
দীর্ঘ চার বছরের শেকলবন্দি জীবন কাটানো এই ছাত্রদল নেতা এখন অপেক্ষায় আছেন সুস্থ হয়ে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে