শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২১, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতরা প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় তারা একটি মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এতে সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিরা নানা স্লোগান দেন। যার মধ্যে রয়েছে—‘পদত্যাগ পদত্যাগ, পদত্যাগ চাই, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাই’, ‘দফা এক দাবি এক, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ’, ‘খুনিরা বাইরে ঘোরে, বিচার বিভাগ কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’।
জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতরা বলছেন, অর্থের বিনিময়ে জুলাই গণহত্যার আসামিরা জামিন নিচ্ছেন। অবিলম্বে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা বিচারকদেরও অপসারণ দাবি করেন।
জুলাই শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল করিম বলেন, এক বছর পরেও আমরা আমার সন্তান হত্যার বিচার পাইনি। সরকার বিচারের নামে তামাশা করছে। আমরা দেখছি, আসামিরা অর্থের বিনিময়ে জামিন নিচ্ছে। অথচ আইন উপদেষ্টা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। শহীদ তায়িমের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, আমরা এই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।
শহীদ শেখ শাহরিয়ারের বাবা আব্দুল মতিন বলেন, আজকে একটি বছর তারা বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিচারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আশ্রয় নিলেও তারা তাদের সঙ্গে প্রহসন করছে।
জুলাই আহত আমিনুল ইসলাম বলেন, জুলাই আহতরা যদি আবার রাস্তায় নামে, তাহলে পরিণাম ভালো হবে না। শহীদ পরিবার ও আহতরা কাউকে ভয় পায় না। এটা সরকারের স্মরণে রাখা উচিত।
শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই সরকার ক্ষমতায় বসেছে। দুঃখের বিষয়, জুলাই গণহত্যার এক বছর পরে আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য তাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের একাধিকবার কথা হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বিদায় করেছেন।
এর আগে শহীদ পরিবার ও জুলাই আহতরা সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাথি ও গালি দেয় বলে অভিযোগ তোলেন শহীদ আহনাফের মা সাফাত সিদ্দিকী। তিনি বলেন, পুলিশ জুলাই শহীদ পরিবারকে বিশ্রীভাবে গালি দিয়েছে। আমি সেটা উল্লেখ করতে পারব না। আমাকে পুলিশ লাথি দিয়েছে।...আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমরা দাবি আদায় করেই ছাড়ব।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ