শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:১৮, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত, প্রতীকী
রবিবার (১৭ আগস্ট) প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) পিএ খাতের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। তবে হালনাগাদ হিসাবে তা বেড়ে আনুমানিক ৭৫ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। যেহেতু সব প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়নি, তাই এখনই ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।
প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানানো হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ডলারের বিনিময় হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, নির্মাণসামগ্রীর দাম ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি ব্যয় বাড়িয়েছে। এ ছাড়া অংশীজনদের অনুরোধে পাতাল স্টেশনের নকশা একাধিকবার সংশোধন করায় ব্যয় আরো বেড়েছে।
দরপত্র প্রক্রিয়ার অগ্রগতির বিষয়ে জানানো হয়, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের মোট ১২টি প্যাকেজের মধ্যে এখন পর্যন্ত আটটির দরপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে একটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে চারটি জাপানি, দুটি চীনা ও দুটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া তিনটি প্যাকেজে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থানীয় কন্ট্রাক্টররা সহযোগী হিসেবে যুক্ত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে কন্ট্রাক্টরদের প্রস্তাবিত দর ডিপিপিতে নির্ধারিত অনুমানের তুলনায় বেশি।
রাজধানীতে পাতাল ও উড়াল মিলিয়ে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে নির্মিত হচ্ছে এমআরটি লাইন-১। ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের ডিপো এলাকার উন্নয়নকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি ১১টি প্যাকেজের ক্রয়প্রক্রিয়া এখনও চলমান।
প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে