শিরোনাম
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৩৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫৬, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
শহীদ ধীরাজ-মিজান স্মৃতি পাঠাগার ও মিলনায়তনের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে পাঠাগার মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরুতে নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করলেও দুপুর গড়াতেই নানা অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ সামনে আসে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সরাসরি অংশ নিয়েছেন এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। শুধু তাই নয়, জামায়াত-বিএনপির দায়ের করা মামলার একাধিক আসামিকেও নির্বাচনী কাজে সরব থাকতে দেখা গেছে।
ডোমার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, থানা প্রশাসনের সাথে যোগসাজশ করেই আওয়ামী লীগ নেতারা প্রকাশ্যে নির্বাচন পরিচালনা করছেন। তাদের দাবি, প্রশাসন এভাবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে পুনর্বাসন করছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনছে।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও তাদের অভিযোগ। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, পাঠাগার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. আনজারুল হক (সাধারণ সম্পাদক), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর দায়ের করা মামলার নামীয় আসামি আলামিন রহমান (সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজ্জাদ কিবরিয়া পাপ্পু (সদস্য), আওয়ামী লীগ সমর্থিত সহিদার রহমান মানিক (সহ-সভাপতি), এবং ইলিয়াস হোসেন (গ্রন্থাগার সম্পাদক) যিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি দেখতেছি,”। এরপর ফোন কেটে দেন।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, শতবর্ষী এ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটির নির্বাচন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা উচিত ছিলো। অথচ, বাস্তবে রাজনৈতিক উত্তাপ ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততায় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এনএ