শিরোনাম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৩৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪১, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
রাস্তা নির্মাণের জন্য ফসলি জমি কাটা হয় । ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
সরকারি অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় পেশিশক্তি দেখিয়ে এসব জমি কেটে ফেলেছে বলে জমির মালিকদের অভিযোগ। উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে মাটি কাটার এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, মাটি ভরাটে বাধা দেয়ায় প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে রয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষক রতন কুমার দাস ও তার পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া মৌজার ৫০ নং খতিয়ানের ১ একর ৮০ শতাংশ ফসলি জমি।
কাজীবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাজপাড়া গ্রামের সাবেক শিক্ষক রতন কুমার দাসের। রাস্তার দুই পাশে ভেকু দিয়ে ফসলি জমি গর্ত করে মাটি কেটে রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। এতে সরিষা, ধান, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করা হচ্ছে। আর সেই জমিতে স্থানীয় পূর্বভাবশালীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে শিক্ষক পরিবারসহ কয়েক পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে ফসলি জমি কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করেছেন।
এদিকে, জমিতে মাটি কাটায় বাধা দিয়ে প্রাণ নাশকের হুমকির মুখে পড়েছেন ওই পরিবার। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকার ও প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষক রতন কুমার দাস বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জমি থেকে তারা ব্যক্তিগত রাস্তার জন্য আমার জমির মাটি কেটে নিয়েছে। এতে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আমি তাদেরকে বাধা দেয়ায় তারা আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং বলেন প্রশাসন দিয়ে কিছুই হবে না। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।”
৬০ বছর বয়সি রতন বলেন, “আমার জমিতে মাছের ঘের নষ্ট করে রাস্তায় মাটি ফেলা হচ্ছে। তারা কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি।”
ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ভুক্তভোগী বলেন, “আমার জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে গর্ত করেছে। আমার ক্ষেতের জমি নষ্ট করেছে।” এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল আরেফিন বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ করে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এনএ