শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:৫৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস একটি এককালীন বন্দি মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের শত্রুতা বন্ধ করতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব নিয়ে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে, যেখানে তারা মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হামাসের সিনিয়র নেতা খালিল আল-হাইয়া। আজকের বৈঠকে হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হবে। যদিও আরেক শীর্ষ নেতা তাহের আল-নোনো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সংগঠনের অস্ত্রসম্ভার নিয়ে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই।
তবে দৃশ্যপটে কিছু ভিন্ন সুরও দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এন টুয়েলভ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের অন্তত তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তারা ভবিষ্যতের কোনো নতুন শাসক গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দিতে রাজি হতে পারেন। যদিও পুরো সংগঠনে এখনো এ নিয়ে একমত হয়নি, তবে এটি হামাসের নেতৃত্বের একটি অংশের মধ্যে নিরস্ত্রীকরণের প্রতি সম্ভাব্য মনোভাবের ইঙ্গিত।
হামাসের সূত্রের বরাত দিয়েএন টুয়েলভ জানায়, হামাস জানে তাদের অস্ত্র পরিত্যাগ ছাড়া আরব দেশগুলো গাজার পুনর্গঠনে সাহায্য করবে না এবং গাজায় শান্তি রক্ষার জন্য কোনো বাহিনীও পাঠাবে না, যদি হামাস সশস্ত্র শক্তি হিসেবে টিকে থাকে।
আরও জানা গেছে, সম্ভাব্য চূড়ান্ত চুক্তির আওতায় গাজার শক্তিশালী নেতা মুহাম্মদ সিনওয়ার এবং গাজার ব্রিগেড কমান্ডার ইজ্জ আদ-দীন হাদ্দাদকেও উপত্যকা থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।