শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪০, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শুরু থেকেই দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে অনড়। কখনো ৬ মাস, কখনো এক বছর—নানান সময়সীমার কথা বললেও সর্বশেষ দলটির দাবি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। দুইবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেও তারা আশ্বস্ত হতে পারেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ থাকলে জনগণের আস্থা ফিরবে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রস্তুতির সুযোগ পাবে। অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও ক্ষতিকর।”
অন্য সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সতর্ক করে বলেন, “সাংবাদিকতার সৌজন্য ছাড়িয়ে যদি রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়, তাহলে পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে যেতে পারে, যা এক ধরনের স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করবে।”
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা দলগুলোর মতে, নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ও রোডম্যাপ না থাকায় সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ থাকলে এই দ্বিধা ও সন্দেহ অনেকটাই কেটে যেত। কমিশন যদি তফসিল ঘোষণা করে, তার আগে সরকার রাজনৈতিক নির্দেশনার মাধ্যমে পরিবেশ তৈরি করতে পারত।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও রোডম্যাপের দাবিকে যৌক্তিক বলছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো মূলত একটি নির্দিষ্ট তারিখ জানতে চাচ্ছে, যা তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও নির্বাচনী কৌশলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দাবি শুধু রাজনীতির জন্য নয়, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।”
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের প্রায় দুই মাস আগে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তবে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর দাবি—বিলম্ব না করে এখনই আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো উচিত, যাতে রাস্তায় সংঘাত নয়, আলোচনার টেবিলেই নিরসন হয় সংকটের।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি