শিরোনাম
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৪৫, ১৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৬, ১৭ মে ২০২৫
আসামি হিটু শেখ, ছবি: সংগৃহীত
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিনই টানা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতেই এসব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু), বোনের স্বামী ও তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬(২) ধারায় (ভয়ভীতি প্রদর্শন), এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে, ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন (ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী)।
শিশুটি বেড়াতে গিয়েছিল তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে। গত ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার ৭৩ দিনের মাথায় আজ মামলাটির রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৩৭ দিনের মাথায় তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ